সালটি ২০০৮ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু।গ্রাম থেকে ঢাকাতে এসে বন্ধুদের সাথে একসাথে মেসে থাকা। থাকা হত কলাবাগান স্টাফ কোয়াটার এলাকায়। সেই বছরের গ্রীষ্মকালে বাড়ী থেকে আম আনা হল । সাপাহারের (নওগাঁ- রাজশাহী) আম বলে কথা যার তুলনা হয় না। বন্ধুরা কয়েকজন বলে বসল আমরা এত টেস্টি আম এর আগে এত মজা করে খাইনি, বন্ধু তুই এই আম এলাকা থেকে ঢাকায় এনে বাজারজাত করতে পারিস কিনা দেখ।
করা যায় কিন্তু তখন (২০০৮ সাল) আমাদের যে বাগান ছিল তা পারিবারিক বাগান বলা চলে যা নিজেদের খাবার জন্য। এটা আসলে বাজারজাত করার মত ছিল না। আর তা ছাড়া বাগান করতে যে অর্থ লাগে সেটাও ছিল না।
সেই ২০০৮ সালের সপ্ন বাস্তবে রুপ দেবার জন্য পরিকল্পনা শুরু হয় ২০১৩ সালে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে কৃষি কাজ তেমন টা সহজ ছিল না। আমার এই স্বপ্নের সারথি হয়ে এগিয়ে আসে এক বন্ধু যে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড সংগ্রহ করতে সাহায্য করে। আমরা মিশ্র বাগান (ল্যংড়া+হিমসাগর) তৈরি করি ০৮ বিঘা জমিতে। এর পর ২০১৬ সালের পর পর্যায়ক্রমে আম্রপালি, নাগফজলি, বারী-৪,কাটিমন, গৌড়মতি, ড্রাগন বাগান তৈরি করে এগিয়ে যেতে থাকে আমাদের এই অগ্রযাত্রা।
আলহামদুলিল্লাহ্ এখন ৮৫ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হচ্ছে। কর্মসংস্থান হয়েছে ৫৫ জন মানুষের। আমাদের বাগানের সুস্বাদু আম যাচ্ছে সুদূর ওমান, জার্মানি, ফ্রান্স, বাহরাইন, ইউকে, ইতালি, মালয়েশিয়া এই সব দেশে। এবং আগামিতে আরও বেশ কিছু দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এরপর ২৯ এ মে ২০১৮ সালে আত্মপ্রকাশ পায় ফেস বুক পেজ ‘’World of Mango”। যা অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশে এবং নওগাঁ তে সবচাইতে বড় অনলাইন মার্কেট প্লেস হয়ে দাড়ায়।
‘’World of Mango’’ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৪ সালে “জাওহার এগ্রো” এর যাত্রা শুরু হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ্।
সেই ২০০৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই লম্বা পথ পাড়ি দিতে যারা বিভিন্নভাবে পাশে ছিলেন, আছেন তাদের কাছে আমি/আমরা চির কৃতজ্ঞ কারণ তাদের অংশগ্রহণ এবং দোয়ায় আজ “Jawhar Agro” নামে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হল আলহামদুলিল্লাহ্।
আমাদের লক্ষ্য
আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বিশুদ্ধতা ও স্থায়িত্বকে ভিত্তি করে সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করা। আমরা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের কৃষি উৎকর্ষতাকে তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের দৃষ্টি
আমরা “জাওহার এগ্রো”কে একটি অগ্রগামী কৃষি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই, যা বিশুদ্ধ এবং খাঁটি পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে গুণমান, সামাজিক উন্নয়ন এবং মানুষের উপর ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারের জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত।
আমাদের আকাঙ্খা
আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা হচ্ছে আমাদের কৃষি জ্ঞানকে সম্প্রসারিত করে নতুন বাজারে প্রবেশ করা, সেইসাথে গুণমান, গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং সামাজিক উন্নয়নের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা বজায় রাখা।